বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
লঙ্কানদের হারাল বাংলাদেশ

লঙ্কানদের হারাল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক ॥ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর লড়াকু পুঁজির পর বল হাতে লঙ্কানদের একাই ধসে দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মাঝে দিয়ে ভানিন্দু হাসারাঙ্গা দারুণ প্রতিরোধ গড়লেও নির্ধারিথ ওভারের আগেই ৩৩ রানের জয় পেয়েছে টাইগাররা। এ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। একই সঙ্গে ওয়ানডে সুপার লিগে আরও ১০ পয়েন্ট যুক্ত হলো টাইগারদের ঝুঁলিতে। গতকাল রোববার মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে এসে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করেন তামিম-মুশফিকরা। জবাবে ব্যাট করতে এসে ১১ বল বাকি থাকতেই সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংসের গতি। বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে এসে শুরুটা দারুণ হয় দুই সফরকারী ব্যাটসম্যান দানুশকা গুনাথিকালাকা ও কুশল পেরেরার। তাসকিন আহমেদকে একের পর এক চারে দ্রুত রান তুলতে থাকেন দানুশকা। তবে এই লঙ্কান ওপেনারকে থিতু হতে দেয়নি মেহেদি হাসান মিরাজ। ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে ২১ রান তুলতেই তাকে সাজঘরে ফেরান এই স্পিনার। তাসকিনের শুরুটা ভালো না হওয়াতে তার জায়গা তামিম আক্রমণে আনেন মুস্তাফিজুর রহমানকে। বল হাতে প্রথম বলে এক রান দিয়ে পরের বলেই নতুন ব্যাটসম্যান পাথুম নিশাঙ্কাকে সাজঘরে ফেরান তিনি। আফিফ হোসেনের তালুবন্দি হওয়ার আগে ১৩ বলে ৮ রান যোগ করেন নিশাঙ্কা। দুই উইকেট হারানোর পর লঙ্কানদের হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ওপেনার পেরেরা ও কুশল মেন্ডিস। তাদের প্রতিরোধী ৪১ রানের জুটিতে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। মেন্ডিসকে ব্যক্তিগত ২৪ রানে মিরাজের তালুবন্দি করান তিনি। এটি তার স্বীকৃত ক্রিকেটে এক হাজারতম উইকেট। খানিক সময় পর স্বাগতিক ওপেনার পেরেরাকে বোল্ড করেন মিরাজ। ফেরার আগে ৫০ বলে ৩০ রান যোগ করেন তিনি। রান তাড়া মরিয়া হয়ে উঠে লঙ্কানরা। তবে উইকেটের নেশা চেপে ধরে মিরাজকে। নিজের পরের ওভারের এসে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকেও একই কায়দায় সাজঘরে ফেরান তিনি। দলীয় ১০২ রানের মাথায় আবারও উইকেটে আঘাত হানেন মিরাজ। ২৪ বলে মাত্র ৩ রান করা আশেন বান্দারাকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান তিনি। দাসুন শানাঙ্কাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন হাসারাঙ্গা। তাদের প্রতিরোধী জুটিতে ভাঙন ধরান সাইফউদ্দিন। ১৪৯ রানের মাথায় শানাঙ্কাকে বোল্ড করে ৪৭ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। খানিক পরই ঝড়ো ব্যাটে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন হাসারাঙ্গা। মাত্র ৩১ বলে ৩ চার ও চার ছয়ে পঞ্চশ করেন তিনি। সপ্তম উইকেটের জুটিতে হাসারাঙ্গার সঙ্গে ব্যবধান কমাতে থাকেন ইসুরু উদানা। হাসারাঙ্গার ঝড়ো ব্যাটে লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছিল লঙ্কানরা। তবে বিধ্বংসী হয়ে উঠা এই অলরাউন্ডারকে দেরি হলেও ফেরাতে সক্ষম হন সাইফউদ্দিন। দেড় ঘণ্টায় ৬০ বলে ৭৪ করে আফিফের তালুবন্দি হন তিনি। পরের ওভারের প্রথম বলেই উদানাকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মুস্তাফিজ। মিড উইকেটে মিরাজের তালুবন্দি হওয়ার আগে ২১ রান করেন তিনি। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে দুশমন্থ চামিরা সাইফের তালুবন্দি করেন মুস্তাফিজ। এতে করে ৩৩ রানে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ করে হাসারাঙ্গা। স্বাগতিকদের হয়ে একাই চার উইকেট শিকার করেন মিরাজ। এ ছাড়া তিনটি উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ ও দুটি উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন। এর আগে, টসে জিতে ব্যাট করতে এসে তিন ব্যাটসম্যানের অর্ধশতকে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান তোলে স্বাগতিকরা। তামিম ইকবালের পাশাপাশি মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহও ফিফটির দেখা পান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন মুশফিক। সফরকারীদের হয়ে একাই তিন উইকেট শিকার করেন ডি সিলভা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com